• রবিবার, ০৫ মে ২০২৪, ০২:০৩ পূর্বাহ্ন |
  • Bangla Version
নিউজ হেডলাইন :
করোনা শনাক্তের হার ১৫ শতাংশের বেশি, মৃত্যু ১ Отзыв о Pinup Wager в мае 2024 года Where To Find Iranian Wives অভয়নগরে বিলুপ্তির পথে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী ঢেঁকি অভয়নগরে ছাত্র ছাত্রী প্রদর্শনী ক্লাস সবক ও পাগড়ি প্রদান Plinko 2024: Guía para juegos Plinko gratuitos Vietnamese Vs. Thai Mail Order Brides: A Comparative Analysis যশোরের বায়েজীদ হাসান হত্যা মামলার ২ জন পলাতক আসামীকে ঢাকা ভাটারা থানা এলাকা হতে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-৬, যশোর ও র‌্যাব-১ গোপালগঞ্জে চাঞ্চল্যকর ৬ বছরের শিশু ধর্ষণ মামলার আসামি সবুজ’কে পটুয়াখালী হতে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব-৬ Mostbet App Download For Android Apk And Ios 2023 Mostbet 314 Casino Azərbaycanda Bukmeker Kontoru Mostbet Azerbaycan Yukle Android Os Apk Və Ios App-d Mostbet Az-90 Kazino Azerbaycan ən Yüksək Bukmeyker Rəsmi Sa 0898520760 ফের আগ্রাসনের চেষ্টা করলে ইসরায়েলকে শক্তিশালী জবাবের হুঁশিয়ার ইরানের গাজায় এক গণকবরেই মিলল ৩০০ লাশ ইসরায়েলের গভীরে হামলার দাবি হিজবুল্লাহর

সাংবাদিকদের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গ্র্রেপ্তারের বিরুদ্ধে সম্পাদক পরিষদের তীব্র নিন্দা

কোভিড ১৯ মোকাবিলায় অব্যবস্থাপনার সমালোচনা করায় সম্প্রতি সম্পাদকসহ সাংবাদিক, লেখক ও বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা ও গ্রেপ্তারের ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছে সম্পাদক পরিষদ। এসব ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে অবাধ ও স্বাধীন সাংবাদিকতার পরিবেশ বিনষ্ট ও গণমাধ্যমের কর্মীদের ওপর পুলিশের ক্রমবর্ধমান পদক্ষেপে উদ্বেগ প্রকাশ করছে সম্পাদক পরিষদ। মঙ্গলবার পরিষদের পক্ষে প্রেসিডেন্ট মাহফুজ আনাম ও সাধারণ সম্পাদক নঈম নিজাম এক বিবৃতিতে বলেন, বিগত কয়েক মাসে প্রায় ৪০ জন সাংবাদিকের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হয়েছে, যাঁদের মধ্যে ৩৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এসব গ্রেপ্তারের ঘটনা এমন এক ভীতির পরিবেশ তৈরি করেছে, যেখানে স্বাভাবিক সাংবাদিকতার কাজ ও অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে।গ্রেফতার সাংবাদিকদের মুক্তি দাবি ...

সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যমের ওপর এই আক্রমণ তখনই হচ্ছে, যখন কোভিড-১৯ মহামারি মোকাবিলায় লড়াই চলছে। অথচ এসময় বাংলাদেশে মিথ্যা সংবাদ ও ভীতি ছড়ানো ভুয়া তথ্য মোকাবিলায় নির্ভরযোগ্য ও স্বাধীন গণমাধ্যম সবচেয়ে বেশি জরুরি।

বাংলাদেশের গণমাধ্যম জনগণকে তথ্য জানানোর পাশাপাশি সাফল্য ও প্রত্যাশার সংবাদ পরিবেশন করছে, মহামারি মোকাবিলায় অপ্রতুল পদক্ষেপের কথা তুলে ধরছে, এবং পুনর্গঠনের পথ খুঁজে পেতে আলোচনার সুযোগ করে দিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। এই সময় গণমাধ্যমের ওপর আঘাত আমাদের ঘুরে দাঁড়ানোর সম্ভাবনাকেই বিপন্ন করবে।

বিবৃতিতে বলা হয়, আমরা গভীর উদ্বেগের সঙ্গে আরও লক্ষ্য করছি যে অন্য আইনের তুলনায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন এখন অপেক্ষাকৃত অনেক বেশি ব্যবহার হচ্ছে।
এর কারণ হলো এই আইনের আওতায় পুলিশ পরোয়ানা ছাড়াই গ্রেপ্তার করতে পারে এবং এই আইনের বেশিরভাগ ধারাই (২০টির মধ্যে ১৪টি) অজামিনযোগ্য। ফলে এই আইনে গ্রেপ্তার হওয়ার পর একজন ব্যক্তিকে কারাগারেই রয়ে যেতে হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়ের হওয়া বেশিরভাগ মামলায় করা অভিযোগগুলোর মধ্যে স্থানীয় প্রশাসনের সমালোচনা, গুজবরটানো, বিক্ষোভে সমর্থন, মানহানিকর মন্তব্য, ধর্মীয় সম্প্রীতি বিনষ্টের চেষ্টা, ভুয়া সংবাদ পরিবেশন ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। এসব কারণের সবগুলোরই সংজ্ঞা অস্পষ্ট।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন পুলিশকে কোনো প্রকার পরোয়ানা ছাড়াই ¯্রফে সন্দেহের বশবর্তী হয়ে গ্রেপ্তারের ক্ষমতা দিয়েছে। এর ২০টি ধারার ১৪ টিই অজামিনযোগ্য এবং যখনই মামলা হয়, পুলিশ দ্রুত গ্রেপ্তার করে। আসামিকে বিচারকের সামনে হাজির করার পরই স্বাভাবিকভাবেই তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়।
সম্পাদক পরিষদ মনে করে, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন একটা গোষ্ঠীর হাতিয়ার হয়ে উঠেছে, যারা গণমাধ্যম বিরোধী ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা বিরোধী এই আইনের যথেচ্ছ ব্যবহার করছে। এবং তাদের উদ্দেশ্য হলো সাংবাদিকদের হয়রানি করা ও ভয়ভীতি দেখানো এবং দুর্নীতি ও জনগণের জন্য, বিশেষ করে দরিদ্রদের জন্য বরাদ্দ সরকারি তহবিলের অপব্যবহারের খবর প্রকাশে বাধা দেয়া।

বিবৃতিতে বলা হয়, শুরু থেকেই সম্পাদক পরিষদ এই আইনের বিরোধিতা করে আসছে। কারণ আমরা জানি, এই আইন মুক্ত গণমাধ্যম ও মত প্রকাশের স্বাধীনতার পরিপন্থী। সেসময় আইনমন্ত্রী গণমাধ্যমকে আশ্বস্ত করেছিলেন যে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন শুধু সাইবার অপরাধ দমনে প্রণয়ন করা হয়েছে, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা খর্ব করতে এই আইন কখনো ব্যবহার হবে না। কিন্তু পরিসংখ্যান বলছে, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে সাইবার অপরাধীদের চেয়ে সাংবাদিক, শিক্ষক ও বুদ্ধিজীবিরাই বেশি গ্রেপ্তার হয়েছেন, বিশেষ করে বিগত ছয় মাসে এ সংখ্যা আরও বেড়েছে। বিগত আড়াই বছরের অভিজ্ঞতায় আমাদের কাছে আরও স্পষ্ট হয়েছে যে মুক্তমত ও মুক্ত গণমাধ্যমের স্বার্থে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন অবশ্যই বাতিল করতে হবে।

আমরা গণমাধ্যম ও সাংবাদিকদের ওপর ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ব্যবহার এই মুহূর্তে বন্ধের দাবি জানাচ্ছি এবং আমরা জাতীয় সংসদের প্রতি এই স্বাধীনতা পরিপন্থী আইন অপসারণে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়ার আহবান জানাচ্ছি।

বিবৃতিতে বলা হয়, আমরা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গ্রেপ্তার সব সাংবাদিকের অবিলম্বে মুক্তি ও তাঁদের বিরুদ্ধে দায়ের মামলা প্রত্যাহারের ও দাবি জানাচ্ছি। একইসঙ্গে প্রতিহিংসা পরায়ণ হয়ে ও ব্যক্তি স্বার্থে যাঁরা এই আইনের চরম অপব্যবহার করেছেন, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানাচ্ছি।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published.